ঢাকাশনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈশ্বরদীতে সুমাইয়া নামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যা।

yousuf
এপ্রিল ২৭, ২০২৪ ১২:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শেয়ার করুন...

ঈশ্বরদীতে সুমাইয়া নামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যা করেছে। ঈশ্বরদীর ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের সদস্য তালাত মাহমুদ খান আকাশের সাথে আনুমানিক তিন বছর আগে শহরের কাচারী কাচারীপাড়া নিবাসী সুমাইয়া মন্ডলের বিয়ে হয়। গত ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় সুমাইয়া নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহনন করে।

গৃহবধূর স্বামী তালাত মাহমুদ খান বলেন, তিনি আনুমানিক সাড়ে দশটায় ঘর হতে বাহির হন, ৮/১০ মিনিট পরে আবার ঘরে ফিরে এসে দরজা বন্ধ দেখে স্ত্রীর নাম ধরে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখেন তার স্ত্রী ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। তৎক্ষনাৎ সে বাড়ির অপর অংশে বসবাসকারী তার সৎ ভাইকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে। তারা দুজন সাথে সাথে প্রতিবেশীদের ডাক দিলে ৩/৪ মিনিটেই নারী- পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ১৯/২০ জন ছুটে আসে।

হয়ত তার স্ত্রী বেচে আছে এই আশায় শিল নুড়া ও শাবল দিয়ে উপস্থিত ৭/৮ জন পুরুষ ঘরের জানালা ভেংগে মেয়েটিকে ফ্যান থেকে নামায়।ইতিমধ্যে সুমাইয়ার বাবাও রিকশা নিয়ে হাজির উদ্ধারকারী ২ জন ও সুমাইয়ার বাবা আরমান মন্ডল তাকে ঈশ্বরদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার শামীম তাকে মৃত ঘোষণা করে। সেখামে মেয়ের বাবা ও মা হাজির হয়ে তাদের জামাইকে দোষারোপ করলে উপস্থিত নার্স ও ডাক্তার তাদের মেয়ের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা খুজে দেখতে বলেন।

তারা খুজতে রাজী হন না।বরং লোকজন নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেন। তখন সুমাইয়ার শশুর বাড়ির লোকজন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। সূত্র মতে আরও জানা যায় সুমাইয়া মোবাইলে পর পুরুষের সঙ্গে কথা বলতে চ্যাট করতো এই অভ্যাসগুলো তার ছিল দুপুর ২: টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৫ জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্ন করেন।সকালের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেন।

পক্ষান্তরে মেয়ের বাবা বলেন নিহত সুমাইয়া মন্ডলের উপরে যৌতুকের দাবিতে তার জামাতা দিনের পর দিন অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যেত। মেয়ের বাবা বলেন মেয়ের উপরে অত্যাচার নির্যাতন দিনের পর দিন হতে থাকে তাই মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পক্ষান্তরে ছেলের বাড়ির আশপাশের প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে যানা যায় তারা আকাশকে ভালো জানে,এবং এই ধরনের অত্যাচার বা মারপিট নির্যাতনের কথা কখনো শুনেনি।

বাড়ির পাশে এমন হলে তারা অবশ্যই জানতো। ছেলে পক্ষ বলে,যৌতুকের এই মিথ্যা অপবাদটা এনে আমাদেরকে হেয় করার চেষ্টা কারণ তারা ৩ বছর খানেক আগে বিয়ে করেছে প্রেম করে। ৩ বছর পর যৌতুকের কোন প্রশ্নই আসে না। ছেলেদের দাবি মেয়ে অত্যন্ত জেদি ছিল নিজেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। ছেলেদের একটাই কথা আমরা যদি অত্যাচার করতাম তাহলে আমাদের

এলাকাবাসী জানতো। তাকে প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেও তার শরীরে নির্যাতনের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই ছেলেদের দাবি আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে আমাদের সামাজিকভাবে সম্মানহানির চেষ্টা করছে তারা।


শেয়ার করুন...

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: Content is protected !!