বরাবরই কোরবানির ঈদ আসলে আলোচনায় থাকে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি নিয়ে। এবারও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে পুঠিয়ার বিভিন্ন এলাকার বিক্রেতাদের মাঝে। দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দিন বিকালে রাজশাহীর পুঠিয়ায় ভ্যান গাড়িতে করে অনেকেই বাজারে চামড়া বিক্রি করতে আসেন। এদেরকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলছেন ভ্যান গাড়িতে করে যে চামড়া বিক্রি করতে এসেছি তাতে করে ভ্যান গাড়ির ভাড়াই উঠবে না। দামের এই অবস্থার কারণে অনেকে চামড়া মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে আর পুকুরে ফেলে দিতে দেখা গেছে। আবার অনেকে মনের কষ্টে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন।
উপজেলার পালাশি গ্রামের সাকের আলী নামের এক ব্যক্তি তার সমাজের খাসির ৩০টি কোরবানির চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ১৮০ টাকা দিয়ে। সাইদুল ইসলাম নামের অন্যজন তার সমাজের ১৫টি চামড়া বিক্রি করেন ১৬০ টাকা দিয়ে।
এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ (পিএএ) বলেন, আসলে গ্রামের মানুষদের আরও একটু সচেতন হতে হবে। কারণ স্থানীয় বাজারে চামড়া বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না। আর উপজেলার বানেশ্বর এবং বেল পুকুরে চামড়া বিক্রির আড়ৎ আছে সেখানে চামড়া বিক্রি করলে মোটামুটি দাম পাওয়া যাবে।